স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর: যশোরের কেশবপুর উপজেলার ৯৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ অক্টোবর সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিবারের ন্যায় এ উপজেলার মন্দির ও পূজা মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ মোট ৯৬ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে দেখা দিয়েছে পূজার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে পৌরসভা ৮টি, ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন ০১টি, ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ১৪টি, ৩নং মজিদপুর ইউনিয়ন ০৬টি, ৪নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন ০৫টি, ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়ন ০৪ টি, ৬নং কেশবপুর সদর ইউনিয়ন ০৭টি, ৭নং পাঁজিয়া ইউনিয়ন ০৯টি, ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়ন ১১ টি, ৯নং গৌরীঘোনা ইউনিয়ন ১১টি, ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ১০টি, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে ১০টি পূজা মন্ডপগুলোতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলতে দেখা গেছে।

সরেজমিন বালিয়াডাঙ্গা দেবালয় মন্ডপে দেখা হল কালিগজ্ঞ থানার কুশুলিয়া গ্রাম থেকে আসা কারিগর (ভাস্কর) সুমন্ত রায়, বাপ্পা বিশ্বাস তারা দুই জনই ছোট বেলা থেকে প্রতিমা বানানোর কাজ করেন। প্রতিমা তৈরি করতে কি কি সামগ্রী লাগে জানতে চাইলে তারা বলেন, হাত দিয়ে খড়ের কুটা, বাঁশ, পাটের সুতা ও মাটি লেপন দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হয়। এরপর শুরু করেছি প্রতিমায় রংয়ের কাজ। আরও ৪/৫দিন লাগবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি চলছে । ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠির মাধ্যমে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে নিরজ্ঞনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা সমাপ্তি হবে। যিনি দুর্গ নামে অসুরকে বধ করেছিলেন, তিনি সব সময় দুর্গা নামে পরিচিত। দেবী পার্বতী দেবগণের অনুরোধে ও শিবের আদেশে এক উগ্র রূপ ধারণ করে দুর্গম অসুর কে বধ করেন তাই তিনি দুর্গা নামে অভিহিত হন।

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা আগত ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় করা হবে। এবং নিরাপত্তার কারণে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে।